বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় এক নারীকে নিয়ে দুই স্বামীর দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল প্রথম স্বামী মো. শাহ আলম বিশ্বাসের (৫০)। ঘটনার ১০ দিনের মাথায় গত শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহ আলম। দ্বিতীয় স্বামী আ. রহমান হাওলাদারের (৪৮) অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তিনি চিকিৎসাধীন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সোমবার সকালে শাহ আলমের মরদেহ নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
জানা যায়, প্রায় দুই যুগ আগে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের পশ্চিম কদমতলা গ্রামের আব্দুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে শাহ আলমের সঙ্গে পশ্চিম খাদা গ্রামের মানিক হাওলাদারের মেয়ে নূপুর বেগমের (৩৫) বিয়ে হয়।
তাদের সংসারে তিন সন্তান রয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল দাম্পত্য কলহ। এ কারণে শাহ আলমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আ. রহমানকে বিয়ে করেন নূপুর বেগম। এ নিয়ে দুই স্বামীর মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এর জেরে গত ২২ জুলাই রাত ১২টার দিকে প্রথম স্বামী শাহ আলম বিশ্বাস চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আ. রহমানকে ক্ষতবিক্ষত করেন। এ সময় রহমানের আত্মীয়-স্বজনরা ছুটে এসে শাহ আলমকেও মারধর করেন।
কুপিয়ে আহত করার কারণে আ. রহমানের মৃত্যুর আশঙ্কা ছিল। এজন্য স্বামী শাহ আলমকে মারধরের বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। ওই রাতে শাহ আলমকে গোপনে শরণখোলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার ১০ দিনের মাথায় গত শনিবার (০১ আগস্ট) রাত পৌনে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আহত আ. রহমান খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শরণখোলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ বলেন, শাহ আলমের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। এর আগে মারামারির ঘটনায় আ. রহমানের পক্ষে একটি মামলা করা হয়েছিল।